টেন... নাইন... এইট... সেভেন…। ইসরোর যে কোনো উৎক্ষেপণের কাউন্টডাউনে কণ্ঠ দিতেন বিজ্ঞানী ভালারমতি। গত ২৩ আগস্ট ভারতের চন্দ্রযান উৎক্ষেপণেও তাঁর কণ্ঠস্বরই শুনেছে পুরো বিশ্ব। সুললিত কণ্ঠে উৎক্ষেপণে ধারা বর্ণনা করতেন তিনি। ৬৪ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানীর জীবনের কাউন্টডাউন থেমে গেল আকস্মিক হৃদরোগে।
গত শনিবার চেন্নাইয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
অসুস্থতার জন্য ভারতের সূর্যযাত্রার কাউন্টডাউন ও ধারাবিবরণী দিতে না পারার কষ্ট মনে ধরে রেখে ছিলেন তিনি। একদিকে আকাশে ডানা মেললো ভারতের সূর্য মিশন অন্যদিকে না ফেরার দেশের পথে যাত্রা করলেন ইসরোর কাউন্টডাউনের চিরচেনা কণ্ঠের অধিকারী বিজ্ঞানী ভালারমতি।
ভালারমতির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কটাকৃষ্ণন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, “শ্রীহরিকোটায় ইসরোর পরবর্তী মিশনগুলির কাউন্টডাউন যখন চলবে, সেই সময় ভালারমতি ম্যাডামের কণ্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত। প্রণাম।”
১৯৫৯ সালে তামিলনাড়ুর আরাআলু গ্রামে জন্ম নেন ভালারমতি। অবসরের পরও মনের জোরে সময় বর্ধিত করে কাজ করে যাচ্ছিলেন এই বিজ্ঞানী।
১৯৮৪ সালে তিনি ইসরোয় যোগ দেন। ২০১২ সালে সফলভাবে উপগ্রহে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম রেডার স্যাটেলাইট (রিস)। এই অভিযানের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ভালারমতি। এ ছাড়াও ইসরোর একাধিক অভিযানে ধারাভাষ্য দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বিজ্ঞান এবং গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তামিলনাড়ু সরকার তাঁকে আব্দুল কালাম পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছিল।
অসাধারণ কাউন্টডাউন আর শোনা যাবে না বলে আফসোস করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, ভালারমতি ম্যাডামের কণ্ঠস্বর আর শোনা যাবে না। আর কেউ বলবে না... নটি বয়, ইটস নট দ্যাট ওয়ে...