ঘূর্ণিঝড় ওটিসের আঘাতে লণ্ডভণ্ড মেক্সিকো, ২৭ জনের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ২৭, ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ওটিসের আঘাতে লণ্ডভণ্ড মেক্সিকো,  ২৭ জনের প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত

মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে বুধবার (২৫ অক্টোবর) শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ওটিস আঘাত হানে। মেক্সিকোয় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি ওটিস। ওটিসের আঘাতে কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৫ মাইল।

দেশটির সরকার বৃহস্পতিবার ( ২৬ অক্টোবর) এমন তথ্য জানিয়েছে। 

এতে ঘরবাড়ি ও হোটেলের ছাদ ভেঙে পড়েছে, রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে, পানিতে বেশ কিছু গাড়ি ডুবে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে পর্যটন শহর আকাপুলকো যেন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

মেক্সিকো সরকার বলেছে, ঝড়ের পর এখনো চার ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন। মেক্সিকো সিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর বলেন, আকাপুলকো শহর বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। 

ওটিস এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর আঘাতে গাছপালা উপড়ে গেছে, আকাপুলকো শহরজুড়ে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় রোগীদের সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আকাপুলকো শহরটিতে প্রায় ৯ লাখ মানুষের বসবাস। 

ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মেক্সিকো সরকার। পেশাদার জাদুশিল্পী এরিক লোজোয়া বলেন, ঝড়ের সময় তিনি তাঁর স্ত্রী আর দুই মেয়েসহ আকাপুলকোর একটি হোটেল কক্ষে ছিলেন। 

তিন ঘণ্টা ধরে ঝোড়ো বাতাসের শব্দে তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। আরও কয়েকজনসহ পরিবারটি বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিল। ঝোড়ো বাতাসে ভবনের জানালা ভেঙে পড়েছিল।

২৬ বছর বয়সী এরিক বলেন, ‘মনে হচ্ছিল আমাদের কান ফেটে পড়ছে। আমরা দেখলাম, হোটেলের ম্যাট্রেস, পানির ট্যাংক উড়ছে। ছাদও ধসে পড়তে শুরু করেছিল।’

পরিবারটি পরে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসে। কিন্তু নয়তলার ওই কক্ষটিতেও ততক্ষণে পানি ঢুকে গেছে। পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পানি জমেছিল। সে পানিতেই মেয়েদের কোলে নিয়ে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন এরিক। কারণ, বাতাসের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে তাঁরা কক্ষ থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুলতে পারছিলেন না।

ওটিসের কারণে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা মেক্সিকো সরকার এখনো হিসাব করেনি। তবে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণকারী সংস্থা এনকি রিসার্চের হিসাবমতে, দেড় হাজার কোটি ডলারের মতো ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

Link copied!