গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজারেরও বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ১৬, ২০২৪, ১১:০৯ এএম

গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজারেরও বেশি

ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত গাজা। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ১০০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে , নিহত ফিলিস্তিনিদের ১০ হাজার ৪ শতাধিক শিশু রয়েছে, যা অবরুদ্ধ এ উপত্যকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ। আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৮৩৪ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৮ হাজারের বেশি। ৮৫ শতাংশ বাসিন্দাই এখন বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫২ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গাজার হাসপাতালগুলোতে বারবার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে সেখানকার বেশির ভাগ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘হতাহত ব্যক্তিদের কয়েকজন এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে ও সড়কে পড়ে আছে। অব্যাহত হামলার কারণে অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকর্মীরা তাঁদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাদাগাদি করে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা এসব মানুষকে খাবার, পানি, জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসেবা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, এ যুদ্ধ সেখানকার ২৪ লাখ মানুষের জন্য মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, গাজার বাসিন্দারা এখন ‘নরকে বসবাস করছেন’। অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় অত্যাসন্ন দুর্ভিক্ষ নিয়ে এর আগে জাতিসংঘের দেওয়া হুঁশিয়ারিই তাঁর বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর পাশাপাশি বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) ও ইউনিসেফ বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ ঠিক রাখতে মৌলিক পদক্ষেপে একটি পরিবর্তন আনা জরুরিভাবে প্রয়োজন। নিরাপদ ও দ্রুততার সঙ্গে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিতে সীমান্তপথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাগুলো।

এদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত অবসানে একটি চূড়ান্ত শান্তি সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছে চীন।

Link copied!