ফৌজদারি মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেন ট্রাম্প। ব্যবসায়িক নথিপত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে এই তথ্য বেমালুম গোপন করে যান তিনি
ছয় মাস শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জুরি বোর্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্তের প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসে বাইডেন এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, ১১ জুলাই সাজা ঘোষণা
১২ সদস্যের জুরি বোর্ড ফৌজদারি মামলায় ৩৪টি অভিযোগের সবগুলোতেই ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন। আদালতের নথি অনুযায়ী ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ট্রাম্প। ব্যবসায়িক নথিপত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে এই তথ্য বেমালুম গোপন করে যান তিনি।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হয়েছিল ফৌজদারী মামলা। বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্তের পর আগামী ১১ জুলাই এই মামলার বিচারক আনুষ্ঠানিকভাবে রায় শোনাবেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “জুরিরা কয়েক সপ্তাহ ধরে সাক্ষ্য শুনেছেন। এরপর সতর্কতার সঙ্গে সেসব বিবেচনায় নিয়ে ৩৪টি অভিযোগের বিষয়ে সর্বসম্মত রায়ে পৌঁছেছেন।”
এদিকে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্তের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহিংসতার উসকানিও আসছে। ট্রাম্পপন্থী ওয়েবসাইটগুলোতেও এসেছে “দাঙ্গা, বিপ্লব ও সহিংস প্রতিশোধের ডাক”। ট্রাম্প সমর্থকরা বলছেন, ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এটাই প্রমাণ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এখন শুধু সহিংস কিছু করার মাধ্যমে দেশকে বাঁচাতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা নিয়ে উত্তেজনার সমালোচনা করে জো বাইডেন বলেন, “এটা বেপরোয়া, এটা বিপজ্জনক। কারচুপি করা হয়েছে বলা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ।”
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায়ের যে প্রভাব পড়বে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এক ফৌজদারী মামলায় ৩৪টি অভিযোগ প্রমাণিত এবং ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী ১১ জুলাই তাকে রায় শোনানো হবে। এই রায় যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। বলা হয়েছে, এই রায়ের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের যবনিকা হতে পারে। রাজনৈতিকভাবে ছিটকেও যেতে পারেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই সমীকরণ জটিলই হবে। ফৌজদারি অপরাধের কারণে রাজনৈতিক পতনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই প্রথম।
সূত্র: বিবিসি