গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের গানের উৎসবে সম্ভবত হামলা করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের। তারা অনুষ্ঠানের বিষয়টি জানত না। লোকজনের ভিড় দেখে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইসরায়েলের পুলিশ ও বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার বরাত দিয়ে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মাসের হামলা নিয়ে ইসরায়েলি পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছে ইসরায়েলের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ১২। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের কিব্বুতজ রেইম বসতি ও অন্যান্য গ্রামে হামলার পরিকল্পনা করেছিল হামাস।
ড্রোন ফুটেজ ও প্যারাস্যুট নিয়ে ইসরায়েলে ঢোকার পর হামাসের সদস্যরা উৎসবের বিষয়টি জানতে পারেন। উৎসবে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর ) ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেৎজ হামলা নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েলি পুলিশ বেশ কিছু হামাস যোদ্ধাকে আটক করে।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্য তদন্ত করে গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে, ওই দিন সংগীত উৎসবে হামলার কোনো পরিকল্পনা ছিল না হামাসের।
গানের অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতি ও শুক্রবার। তবে অনুষ্ঠান বাড়িয়ে শনিবারেও করার সিদ্ধান্তটি হয়েছিল তার আগের মঙ্গলবার। এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা হারেৎজকে বলেন, হামাসের হামলার পরপরই উৎসবে অংশ নেওয়া অধিকাংশ মানুষ পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
পুলিশের তদন্তের বরাত দিয়ে হারেৎজের প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, অনুষ্ঠানে হামাসের হামলার খবর পেয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে আসে। হেলিকপ্টার থেকে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে উৎসবে অংশ নেওয়া অনেকে আহত হন। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। অপর দিকে ওই দিন থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।