ইসরায়েলি নারীদের ধর্ষণ করেছে হামাস : বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ০৬:৫৫ পিএম

ইসরায়েলি নারীদের ধর্ষণ করেছে হামাস : বাইডেন

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাবাদি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে এবার ইসরায়েলি নারীদের ধর্ষনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি নারীদের ধর্ষণ এবং দেহ বিকৃত করার অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

গত ৭ অক্টোবরের হামলা থেকে বেঁচে যাওয়াদের ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য থেকেই তিনি এ অভিযোগ করেন ।

মঙ্গলবার ( ৫ ডিসেম্বর ) যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহের এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন বাইডেন। 

তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘অকল্পনীয় নিষ্ঠুরতার’ চিত্রগুলো সামনে এসেছে। নারীদের বারবার ধর্ষণ এবং জীবিত অবস্থাতেই তাদের দেহ বিকৃত করা হয়েছে। তাদের মরদেহ অপবিত্র করা হয়েছে। নারী ও মেয়েদের হামাসের যোদ্ধারা যতটা সম্ভব কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছে। এটা আতঙ্কজনক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়।

আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজ এবং সবার প্রতি হামাসের যৌন সহিংসতার নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন।

ইসরায়েলি পুলিশ ৭ অক্টোবরের হামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকশ লোকের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যৌন অপরাধের তদন্ত করছে। 

ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ভুক্তভোগীদের নির্যাতন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং টুকরো টুকরো করা হয়েছে।’ বাইডেনের তোলা ধর্ষণের অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছে হামাস।

নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে যে, গত ৭ অক্টোবর যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের জন্য হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বাইডেন যে ‘মিথ্যা অভিযোগ করার চেষ্টা’ করেছেন তার নিন্দা জানাচ্ছে তারা। 

হামাস আরও বলেছে যে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধকে ধামাচাপা দেওয়া এবং জনমতকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টায় যোগ দিচ্ছেন বাইডেন।

৭ অক্টোবরের হামলার সময় দাবিকৃত যৌন সহিংসতাকে মূল উপজীব্য করে গত সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসরায়েল। সেখানে দেশটি এ হামলার বিষয়ে বিশ্ব সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছে।

অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন রেকর্ড করা ভাষণে বলেন, ‘বৈশ্বিক সম্প্রদায় হিসেবে যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাতে হবে আমাদের। তা সে যেখানেই ঘটুক না কেন। তা না করার কোনো যৌক্তিকতা এবং অজুহাত থাকতে পারে না। যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণকে ব্যবহার করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।’

Link copied!