গেল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। চূড়ান্ত ফলাফল এখনও দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের প্রধান ইমরান খানকে ১২ মামলায় জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত (এটিসি)।
ইমরান যে ১২টি মামলায় জামিন পেয়েছেন, তার মধ্যে পাকিস্তানের সেনা সদর দপ্তর এবং সেনা জাদুঘরে হামলার ঘটনায় করা মামলাও আছে। ১২ মামলায় ইমরানকে ১ লাখ পাকিস্তানি রুপির মুচলেকায় স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারপতি মালিক ইজাজ আসিফ জামিন আবেদনের শুনানি করেন। তিনি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার করে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ৯ মে-এর ঘটনায় অভিযুক্ত সবাই জামিনে আছেন।
যেসব মামলায় ইমরান ও কুরেশি জামিন পেয়েছেন— সবগুলোই গত ৯ মে দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গত ৯ মে আদালত চত্বরে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরান খান। তার পর অভূতপূর্ব বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের নেতাকর্মী-সমর্থকরা।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট গ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।