তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট কর্তৃক আপাতত দায়মুক্তি পেলেও, গোপন তথ্য ফাঁস মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। সুতরাং বিচার বিভাগীয় রিমান্ডেই থাকতে হচ্ছে ইমরানকে।
‘গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের’ মামলায় অভিযুক্ত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরানকে আরও দু’সপ্তাহ পঞ্জাবের জেলে আটক হয়ে থাকতে হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন বিশেষ আদালতের বিচারক।
মঙ্গলবার তোশাখানা মামলায় ইমরানের তিন বছরের জেলের সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তাঁর জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের কোর্ট এখন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইমরানকে আরও দুই সপ্তাহ জেলের ভাত খেতে হবে। জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন কিনা তা জানা যাবে মামলার পরবর্তী সুনানির পর।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক টানাপোড়েন একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
গত বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি ইসলামাবাদে পাঠান। অভিযোগ করা হয়েছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তাঁর তিন সহযোগী সেই নথি ফাঁস করেছিলেন। যদিও এই ঘটনার নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে ইমরানের অনুসারীদের অভিযোগ।
দলের পক্ষ থেকে ইমরানের আইনজীবী জানান, ইমরানকে তথ্য ফাঁসের মামলায় গ্রেফতারের কথা পুলিশ আগে জানায়নি। ইমরানকে যে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এ গ্রেফতার করা হয়েছে, তা তাঁদের জানানোই হয়নি। পাকিস্তানের ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা তাঁর আইনজীবীকে জানানো বাধ্যতামূলক। এ ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা আইন ভেঙেছেন বলে অভিযোগ ইমরানের আইনজীবির।
গত ৫ আগস্ট গ্রেফতার হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পাকিস্তান। গত বছরের ২২ এপ্রিল অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অভিশংসিত হন তিনি। এরপর থেকে এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ১৫০ টিরও বেশি মামলা।