যেসব দেশে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, আছে শাস্তির বিধানও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ২, ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম

যেসব দেশে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, আছে শাস্তির বিধানও

প্রতীকী ছবি

ভোট দেওয়া মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। নিজের ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে নাগরিকরা প্রার্থীদের যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ভোটাররা ভোট নাও দিতে পারেন। তবে এমন কিছু দেশ আছে যেখানকার নাগরিকরা ভোট না দিলে শাস্তি পান।

জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য বলছে, বিশ্বের মোট ২৩টি দেশে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করার আইন রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা মোট ৩০টি। সর্বশেষ দেশ হিসেবে কম্বোডিয়াও এই আইন করেছে। তাই এই তালিকায় মোট দেশের সংখ্যা এখন ৩১।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে, যেসব দেশে এই আইন রয়েছে সেগুলো হলো—আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, সাইপ্রাস, ইকুয়েডর, মিসর, ফিজি, পানামা, গ্রিস, ইতালি, লিকটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, নাউরু, প্যারাগুয়ে, পেরু, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকো এবং কম্বোডিয়া।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইন থাকলেও দেশ ভেদে এই আইনের প্রয়োগ ভিন্ন। যেমন, কিছু দেশে কোনো ভোটার যদি ভোট না দেন, তবে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন, ব্রাজিলে ভোট না দিলে তিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা সেই অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া টানা তিনবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে তাঁর ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে তিনি পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে অনেক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।

সবশেষ দেশ হিসেবে যে দেশটি বাধ্যতামূলক ভোটের বিধান করেছে সেটি হলো—কম্বোডিয়া। তবে দেশটির আইন অনুসারে কেউ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলে কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

যাই হোক, ভোট কাস্ট বাড়ানো এবং ভোট দানে মানুষকে আগ্রহী করে তোলা— এই দুই বিষয়ের ওপরই বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার আইনের সম্পর্ক রয়েছে।

Link copied!