টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক উদ্ধারে নামছে ভারতীয় সেনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নভেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৭:৪১ পিএম

টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক উদ্ধারে নামছে ভারতীয় সেনা

ছবি: সংগৃহীত

অপেক্ষার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের উত্তরাখণ্ডে ধসে পড়া টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিকদের উদ্ধারে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ করা মার্কিন অগার মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। অবশেষে মাটি খনন করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যোগ দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

শুক্রবার ( ২৪ নভেম্বর ) ধসে পড়া সিল্কিয়ারা টানেল খনন করার সময় আমেরিকা থেকে আনা অগার মেশিনটির ব্লেড ধ্বংসস্তূপে আটকে গিয়ে অকেজো হয়ে পড়ে। প্রায় ৬০ মিটারের মধ্যে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিটার এখন হাতেই ব্যবহৃত যন্ত্র দিয়েই খনন করতে হবে বলে জানান এক কর্মকর্তা।    

তবে হাতে খননের কাজ করতে সময় লাগবে একটু বেশি। কারন খননের জন্য কোনো শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য তৈরি টানেলে প্রবেশ করতে হবে এবং আবদ্ধ এক স্থানে হাতে খনন কাজ চালিয়ে যেতে হবে। 

এ পরিস্থিতিতে বদ্ধ পরিবেশে একজন উদ্ধারকারী গিয়ে টানা খুব কম সময়ই কাজ করতে পারবেন। এরপর তিনি বের হলে প্রবেশ করবেন আরেকজন। এভাবে পালাক্রমে টানেলে প্রবেশ করে খনন করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী হাতেই খননের কাজটি করবে।  

রবিবার ( ২৬ নভেম্বর ) উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রকৌশলীর একটি ইউনিট মাদরাস স্যাপার্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।  

উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কার সিং ধামি গণমাধ্যমকে জানান,  শনিবার ( ২৫ নভেম্বর ) শ্রমিকদের সাথে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। মনোবলও তুঙ্গে। তাঁরা খাবার পাচ্ছেন। উদ্ধারকাজ যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ধামি আরও বলেন, অগার মেশিন অকার্যকর হয়ে পড়ায় হায়দরাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটার নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই মেশিন আটকে থাকা অগার মেশিনকে বের করে আনতে পারবে। অগারকে বের করা না গেলে টানেল খননের বাকি কাজ শেষ করা যাবে না।

ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেন, ‘এ অভিযানে দীর্ঘসময় লাগতে পারে। আপনি যখন কোনো পাহাড়ে কাজ করছেন তখন কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। আমরা কখনো কোনো সময়সীমা দেই না।’

আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলে এসেছি যে, ক্রিসমাসের আগেই সবাই বাড়ি ফিরবে।’ যা আরও এক মাসের ব্যাপার।  

পাহাড়ে উলম্বভাবে খননকাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং ২৫ টনের অগার মেশিনটি ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বের করার পর আজই হাতে খনন কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Link copied!