গাজার উত্তরে অভিযানের মধ্যেই গাজা সিটির বাসিন্দাদেরকে কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলিরা। বিমান থেকে ছুড়ে ফেলা লিফলেটে দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজা সিটির সব বাসিন্দাকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এ সময় গাজা সিটি এলাকাকে ‘বিপজ্জনক যুদ্ধাঞ্চল’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের এই বার্তা সম্পর্কে তারা অবহিত। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস বলছে, গাজায় অভিযানের নামে ইসরায়েলের নতুন তৎপরতা কাতারে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনা বাধাগ্রস্ত করবে। গতকাল বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই আলোচনায় মিশর, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান জসিম আল থানি। হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা হোসাম বরদান এএফপিকে বলেছে, মধ্যস্থতা আলোচনা বাধাগ্রস্ত করতেই গাজায় ‘বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতকরণ ও গণহত্যা’ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গত দুই সপ্তাহে গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রবেশ করেছে ইসরায়েল। যেখানে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ সংঘবদ্ধ রয়েছে বলে যুদ্ধ শুরুর দিন থেকে বলে আসছে দেশটি।
হামাস বলেছে, শহরটিতে ইসরায়েলের নতুন তৎপরতা কাতারে বুধবার থেকে শুরু হওয়া সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে আলোচনাকে লাইনচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছে। এই আলোচনায় মিশর, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধানদের পাশাপাশি কাতারের প্রধানমন্ত্রীও অংশ নিচ্ছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। প্রতিক্রিয়ায় একই দিন থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ২৯৫। আহতের সংখ্যা ৮৮ হাজারেরও বেশি।