ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ১১:৪৩ এএম

ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

ছবি: সংগৃহীত

অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ করবেন জো বাইডেন। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের অফিসে ঢুকবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই সময়ে এসে, বিদায়বেলায় একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে দোষী প্রমাণিত ছেলের শাস্তি মাফ করে দিলেন তিনি। এখন আর তাকে শাস্তি পেতে হবে না ও জেলেও যেতে হবে না।

হান্টারের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। আদালতে তার দোষ প্রমাণিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে শাস্তি মওকুফের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকে প্রেসিডেন্টের হাতে। তিনি চাইলে কারো দোষ মওকুফ করে দিতে পারেন। হান্টারের ক্ষেত্রে সে কাজই করলেন বাইডেন।

ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ রাজনৈতিক উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে জো বাইডেন জানিয়েছেন, “হান্টারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে এবং যেভাবে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে তা অভূতপূর্ব। আমার ছেলে বলেই তাকে চরম শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ রাজনৈতিক।”

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, শাস্তি মওকুফের এ ঘটনাকে “বিচারব্যবস্থার অপব্যববহার ও বিকৃতি” হিসেবে করেছেন।  

সংবাদসংস্থা এএফপি-কে দেয়া সাক্ষাতকারে নিজের কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন হান্টার। বলেছেন, “ওই অন্ধকার দিনগুলি ছিল নেশার। ওই সময় এমন কিছু ভুল করেছি, যার জন্য আমি এখনো লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আমার কাজের জন্য পরিবারকে লজ্জিত হতে হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক জীবনে এর প্রভাব পড়েছে।”

হান্টার এও জানান, প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমা তিনি জীবন দিয়ে মনে রাখবেন। অসুস্থ এবং রোগক্লীষ্ট মানুষের সেবার কাজে তিনি বাকি জীবন নিয়োজিত করবেন। এটিই হবে তার প্রায়শ্চিত্তের পথ।

২০২০ সালে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরেই হান্টার জানিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। বাইডেন বলেছেন, “কংগ্রেসে কিছু ব্যক্তি আমার রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। তাদেরই চক্রান্তে হান্টারকে ফাঁসানো হয়েছিল। সে কারণেই একজন বাবা এবং একজন প্রেসিডেন্টকে এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হলো।”

এর আগে বাইডেন বার বার জানিয়েছিলেন, তিনি কোনভাবেই পরিবারের কারো জন্য প্রেসিডেন্টের এই বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করবেন না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রও সে কথা জানিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত কথা রাখতে পারেননি বাইডেন।  

বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান এমপিরা।

Link copied!