নভেম্বর ৯, ২০২৩, ১১:১৬ এএম
ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে মনে করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।
পাঁচ দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার গাজা সীমান্তের রাফাহ ক্রসিংয়ের মিসরীয় দিক পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নৃশংসতা ছিল জঘন্য। তা ছিল যুদ্ধাপরাধ। যেমন যুদ্ধাপরাধ লোকজনকে জিম্মি করে রাখার বিষয়টি।’
জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনের বেসামরিক লোকজনকে ইসরায়েলের সম্মিলিত শাস্তি দেওয়ার বিষয়টিও একটি যুদ্ধাপরাধ। যেমনটা যুদ্ধাপরাধ বেসামরিক লোকদের বেআইনিভাবে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা।’
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয় গত ৭ অক্টোবর। সেদিন ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
ইসরায়েল বলছে, হামাসের এ হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ব্যক্তি নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তারা গাজায় স্থল অভিযানও চালাচ্ছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি শিশু রয়েছে।