ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি দুই শতাধিক মানুষকে বন্দী করে গত ৭ অক্টোবর গাজায় নিয়ে এসেছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা। সে সময় ইসরায়েল থেকে অপহৃত বেশ কয়েকজন বন্দীর ভিডিওচিত্র ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে।
ভাইরাল ওই ভিডিওগুলোর একটিতে দেখা গিয়েছিল জার্মানি ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা শানি লৌককে। বন্দী হওয়ার মুহূর্তে ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে অবস্থান করছিলেন তিনি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,শানি লৌককে মৃত অবস্থায় গাজায় পাওয়া গেছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “খবরটি জানাতে গিয়ে আমরা ভেঙে পড়ছি যে,২৩ বছর বয়সী জার্মান-ইসরায়েলি শানি লৌকের মরদেহ পাওয়া গেছে এবং পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘শানি একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে অপহৃত ও নির্যাতিত হয়েছিলেন এবং তাকে হামাস সন্ত্রাসীরা গাজায় নিয়ে গিয়েছিল।’
এ সময় শানির পরিবার, বন্ধু ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিষয়টিকে তিনি একটি দুঃস্বপ্নের সাথে তুলনা করেন।
ইতিপূর্বে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় তাঁদের কাছে জিম্মি থাকা অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ইহুদিবাদী হামলা ও গণহত্যার ফলে গাজা উপত্যকায় নিহত ইহুদি বন্দীর সংখ্যা প্রায় ৫০ ছুঁয়েছে।’
পূর্বে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, ইসরায়েলে হামলা করে ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২২৪ জনকে জিম্মি করে গত ৭ অক্টোবর নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা।