স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সান এনটোনিও থেকে ৮০ মাইল দূরের শহর উভান্ডের রব এলিমেন্টারি স্কুলে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। হামলায় ১৯ শিশু এবং ২ জন শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, টেক্সাসের ওই প্রাইমারী স্কুলে সালভাদোর রামোস নামে ১৮ বছরের এক তরুণ একটি উচ্চ ক্ষমতার রাইফেল নিয়ে প্রবেশ করে। এরপরই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। নিহতদের মধ্যে ইভা মায়ারলেস এবং ইরমা গারসিয়া নামের দুইজন শিক্ষক ছিলেন, যারা শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন। হত্যাকান্ড ঘটানোর আগে রামোস তার ফেসবুক পেইজে একটি ইঙ্গিত দেন বলে জানিয়েছে টেক্সাস পুলিশ। স্কুলে প্রবেশের আগে ২জন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে রামোসের গুলিবিনিময় হয়। সেসময় ওই দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরই রামোস দুটি রাইফেল কিনেছিলেন।
গত ১৪ জুন নিউইয়র্কের একটি শপিং মলে একই ধরণের হামলায় ১০ জন কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হন। ওই ঘটনাটিও ১৮ বছর বয়সের এক তরুণ ঘটান। হামলার ঘটনাটি ওই তরুণ একটি মোবাইলে সরাসরি সম্প্রচার করেন। এর আগে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে একই ধরণের হামলায় ২০ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৬৮ অনুযায়ী ১৮ বছরের বেশি যেকেউ রাইফেলের মত লঙগান, আর ২১ বছর বয়স হলে পিস্টলের মতো শর্টগান অস্ত্র কেনা যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা পিস্টলের মতো শর্টগান কিনতে বয়স সীমা ১৬ এবং লুইশিয়ানা বয়সসীমা ১৭ তে নামিয়ে আনে। অন্যদিকে টেক্সাস, ওহাইওসহ কয়েকটি মার্কিন প্রদেশ অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে কোন বয়সসীমা রাখে নি। ফলে অনেক শিশুই নাবালক হওয়ার আগেই অস্ত্র কেনার সুযোগ পাচ্ছে। এসব ঘটনার কারণে এ ধরণের হত্যাকান্ড ঘটছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।