ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্বের ৭ কোটি ১০ লাখ লোক দরিদ্র হয়ে পড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে খাদ্যসামগ্রী এবং জ্বালানীর দাম বাড়তে থাকায় জীবন-জীবিকা নিয়ে কষ্টে আছেন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার ( ৭ জুলাই) জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভলপমেন্ট প্রোগাম-ইউএনডিপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধ শুরুর প্রথম তিন মাসে বিশ্বের ৫ কোটি ১৬ লাখ লোক দারিদ্র সীমায় প্রবেশ করে। এসব মানুষের দৈনিক আয় ১ দশমিক ৯০ ডলার ( ১ ডলার= ৯৩ টাকা ) বা তারও নিচে নেমে গেছে। এর বাইরে আরও ২ কোটি মানুষের আয় নেমে এসেছে ৩ দশমিক ২০ ডলারে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর পরিবারগুলো তাদের মোট আয়ের ৪২ শতাংশই ব্যয় করে খাদ্যসামগ্রী কিনতে। রাশিয়ার উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে বিশ্বব্যাপী চাল, গম, চিনি ও তেলের মতো খাদ্যসামগ্রির দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া ইউক্রেন থেকে যেসব পথে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানী হয়, রাশিয়া সেসব পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় খাদ্যশস্য রপ্তানী করতে পারছে না ইউক্রেন, যা বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণগুলোর একটি।
ইউএনডিপির প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং প্রতিবেদন প্রস্তুতকারক জর্জ মলিনা বলেছেন, বৈশ্বিক দারিদ্র বৃদ্ধির এ হার খুব দ্রুত গতিতে আগাচ্ছে।
বিশ্বের যে ২০টি দেশে মূল্যস্ফিতির সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার মধ্যে হাইতি, আর্জেন্টিনা,মিশর, ইরাক, তুরস্ক, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, সুদান, ঘানা,কেনিয়া, শ্রীলংকা এবং উজবেকিস্তান উল্লেখযোগ্য। যদিও সুদান এবং শ্রীলংকার মতো কয়েকটি দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা থাকায় দরিদ্র মানুষের উপর মূল্যস্ফিতির প্রভাব বেশি পড়ছে। সারাবিশ্বে বর্তমানে ৫ বিলিয়ন (৫শ কোটি) মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের কিছু কম।