লাহোরের জামান পার্কে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ। উদ্দেশ্য ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা। কিন্তু বাধ্য হয়ে পিছু হটেছে পুলিশ। সরিয়ে নিতে হয়েছে রেঞ্জার্সও।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অবস্থান নিলে সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। সমর্থকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। সমর্থকেরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। সংঘর্ষ চলমান থাকলেও ইমরানকে গ্রেপ্তার করার কোনো সুযোগ পুলিশকে দেননি সমর্থকেরা।
জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বুধবার (১৫ মার্চ) পুলিশ সদস্যরা পিছু হটার পর পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান খান মাস্ক পরে তাঁর বাসভবন থেকে বের হয়ে আসেন এবং দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করেন। পিটিআইয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ব্যর্থ হলে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে পাঞ্জাব রেঞ্জারদের একটি দল তাঁর বাড়ির সামনে পৌঁছায়। পরে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
বুধবার পাকিস্তান সুপার লিগের নির্ধারিত ম্যাচ থাকায় পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকা থেকে ১০ জন পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালত ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করেছেন। আদালতের নির্দেশের পর এদিনই ইসলামবাদ পুলিশের একটি দল ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে লাহোরে পৌঁছায়।
মঙ্গলবার থেকে জামান পার্ক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ইমরানের সমর্থকদের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। লাহোরে জামান পার্ক এলাকায় ইমরানের বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার পর কর্মী-সমর্থকেরা পথ অবরোধ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের বরাতে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫৪ জন পুলিশ সদস্য।
এদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেছেন, জামান পার্ক এলাকায় নিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ‘নিরস্ত্র’ ছিলেন। তিনি আরও বলেন, পিটিআইয়ের প্রধান দেশে গৃহযুদ্ধ চাইছেন। ইমরানকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে সরকারের কোনো সংযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন মরিয়ম।