প্রায় ১০ বছর পর বিরল এক সফরে গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে ইসরায়েল সফর রয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তবে তার এই ঐতিহাসিক সফরের পরই গাজায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ওই ঘটনায় এক ইসরায়েলি ও তিন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ট্যাঙ্কের গোলা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, “ইসরায়েলি হামলায় তিন ফিলিস্তিনি কৃষক আহত হয়েছেন। অপর দিকে হামাসের হামলায় এক ইসরায়েলি আহত হয়েছেন।”
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার রাত থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্রান্টজের বাড়িতে অবস্থান করছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ সফরের মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা আবার শুরু হতে পারে।
মাহমুদ আব্বাসের ইসরায়েল সফরের পর তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েকটি প্রস্তাবের কথা ঘোষণা করেছে। এ সব প্রস্তাবগুলোকে বলা হচ্ছে পারস্পরিক আত্মবিশ্বাস সৃষ্টির পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি ব্যবসায়ীরা সহজে ইসরায়েল সফর করতে পারবেন।
এদিকে, হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম রয়টার্সকে বলেন, “ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্রান্টজের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে মাহমুদ আব্বাস তার দেশ ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন।” মাহমুদ আব্বাস দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সহবস্থানের মতো জঘন্য কাজকে উৎসাহিত করছেন বলেও তিনি সমালোচনা করেন।