এক কেজি গাঁজা পাচারের অভিযোগে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০১:৩৫ এএম

এক কেজি গাঁজা পাচারের অভিযোগে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ। ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে এক কেজি গাঁজা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও গাঁজা সরবরাহের সময় তিনি ধরা পড়েননি কিন্তু পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছেন তাঙ্গারাজু এমনটাই দাবি প্রসিকিউটরদের। এই দাবির প্রেক্ষিতে গাঁজা পাচারের অভিযোগে ফাঁসি কার্যকর হলো তাঁর। 

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, বুধবার (২৬ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি কারাগারে ৪৬ বছর বয়সী তাঙ্গারাজুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এই ফাঁসির সাজার ঘটনায় দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। 

দুর্বল তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাঙ্গারাজুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে অধিকারকর্মীরা দাবি করেছেন। অন্যদিকে তাঙ্গারাজু নির্দোষ বলে দাবি তাঁর পরিবারেরও। তবে সরকার জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। 

তাঙ্গারাজুকে শেষ মুহূর্তে ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কয়েক দিন আগে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল পরিবার ও অধিকারকর্মীরা। তবে ২০১৮ সালের আইন অনুযায়ী শেষ মুহূর্তের আপিল প্রত্যাখ্যান করেন সিঙ্গাপুরের আদালত। এর আগে ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ এবং মামলার পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

মাদককাণ্ডে গত বছর একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীসহ ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সিঙ্গাপুর সরকার। ওই ঘটনায় সে সময় সমালোচনার ঝড় ওঠে। 

এশিয়ার সিঙ্গাপুরেই সবচেয়ে কঠিন মাদকবিরোধী আইন রয়েছে। অন্যদিকে বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে সিঙ্গাপুরের প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়া। পাশের আরেক দেশ থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক জায়গায় গাঁজাকে বৈধ করা হয়েছে। এমনকি থাইল্যান্ডে গাঁজার বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা হয়। 

Link copied!