শ্রীলঙ্কার কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মীদের বাধার মুখে দেশ ত্যাগ করতে পারেননি বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বিমানে ব্যর্থ হয়ে তিনি নৌবাহিনীর জাহাজে শ্রীলঙ্কা ছাড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এএফপির বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
যদিও ইতোমধ্যে আগামীকাল পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন গোটাবায়া, স্বাক্ষর করেছেন পদত্যাগ পত্রে । তবে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, দুই নেতার আনুষ্ঠানিকভাবে গদি না ছাড়া পর্যন্ত তারা বাসভবন থেকে সরছেন না।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবিধান অনুযায়ি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাওয়া রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাবলয়ে গোতাবায়া রাজাপক্ষে সব ধরনের আইনী প্রক্রিয়া থেকে সুরক্ষিত। আর তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই নিরাপদে তিনি বিদেশে চলে যেতে চাচ্ছিলেন।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ৭৩ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে চলে যেতে চাচ্ছিলেন।
কলম্বো বিমানবন্দর সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিমানবন্দরে সাধারণ যাত্রীরা হয়রানি করতে পারে এমন আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ভিআইপি সুবিধা নিতে চাচ্ছিলেন। তবে কর্মকর্তারা ভিআইপি লাউঞ্জে গিয়ে তার পাসপোর্টে সিল দিতে অস্বীকৃতি জানান।
শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, এখন গোতাবায়া রাজাপক্ষের কাছে এখন একটি পথই খোলা। আর সেটি হলো নৌবাহিনীর জাহাজে তাকে ভারত বা মালদ্বীপে পৌঁছে দেওয়া।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে যদি বুধবার তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদত্যাগ করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।