কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি: পরিবারতন্ত্রের বাইরে আলোচনার শীর্ষে যখন দুই নাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০৩:২৬ পিএম

কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি: পরিবারতন্ত্রের বাইরে আলোচনার শীর্ষে যখন দুই নাম

দলীয় প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে ভারতের কংগ্রেস দলে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। তবে দলের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও সংস্কারবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত শশী থারুর নাম বেশ জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের সভাপতির নামের তালিকায় গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও নাম এল।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, দল সার্বিকভাবে এখনো চাইছে যে সোনিয়া গান্ধীর পর রাহুল গান্ধী, তিনি রাজি না হলে তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের দায়িত্ব নেন। গেহলটেরও সেই মত। কিন্তু রাহুল তিন বছর আগে পদ ছেড়ে দিয়েছেন এবং শারীরিক কারণে সোনিয়া গান্ধীর পক্ষে আর কাজকর্ম দেখাশোনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রাজনীতির মাঠে দিনে দিনে ঝিমিয়ে পড়ছে কংগ্রসে। আবার সামনেই লোকসভার নির্বাচন আসছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই গেহলটের সাথে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন সোনিয়া ও রাহুল।

এদিকে, কংগ্রেসের সভাপতি পদে লড়ার ইচ্ছার কথা প্রথমে জানান সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর। গত ২৫ বছরের অধিকাংশ সময় এই পদে হয় সোনিয়া গান্ধী অথবা তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী ছিলেন।

শশী থারুর কংগ্রেসের আলোচিত সেই জি-২৩ গ্রুপ তথা ২৩ নেতার একজন, যাঁরা ২০২০ সালে কংগ্রেসের আমূল সংস্কার চেয়ে সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন। দলের হতোদ্যম অবস্থার জন্য তাঁরা নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন।

বিদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ফিরেই সোমবার বিকেলে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন শশী থারুর। আগামী ১৭ অক্টোবরের দলীয় নির্বাচনে লড়তে তাঁর সম্মতি পান এই নেতা।

অন্যদিকে, অশোক গেহল্ট গান্ধী পরিবারের একান্ত অনুগত হিসেবে পরিচিত। শশী থারুর পরেই কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াই করার ঘোষণা দেন তিনি এবং ইতোমধ্যেই রোডম্যাপ আঁকা শুরু করেছেন।

বর্তমানে ভারতের রাজস্থান ও ছত্তিশগড় রাজ্যের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে। এর মধ্যে রাজস্থান ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে ২০২৩ সালে রাজস্থান নির্বাচনের আগে সরানো ঠিক হবে কি না, সেটা নিয়েও দলে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে।

তবে যাঁকে নিয়ে গুঞ্জন ও আলোচনা, সেই গেহলট অবশ্য এ প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব যেন রাহুল গান্ধী দলের সভাপতির পদ আবার গ্রহণ করেন।’

Link copied!