ইউরোপের দেশগুলোতে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাগে যুক্তরাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ এখ লাখ ছাড়ানোর পর পাশের দেশ ফ্রান্সেও সোমবার ২৪ ঘন্টায় এক লাখের বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়, ফ্রান্সে গত ২৩ ডিসেম্বর গত ২৪ ঘন্টায় ৯১ হাজার ৬০৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সোমবার গত একদিনে ওই সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এই সংখ্যা গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলের খবরে আরও বলা হয়, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ চার হাজার ৬১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা তিন দিন দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করল ফ্রান্স।
ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে ফ্রান্স, ব্রিটেনসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনের প্রভাবে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকার।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরেই ফ্রান্সের অবস্থান। সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে ম্যাক্রোঁ প্রশাসন কয়েক দিন আগেই ঘোষণা করেছিল খুব দ্রুত এক লাখ ছাড়াবে দৈনিক সংক্রমণ। মাত্র দুদিনের ব্যবধানেই ওই আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স।
দেশটিতে ইতোমধ্যে পূর্ণবয়স্কদের বুস্টার টিকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সরকার থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘ভ্যাকসিন পাস’-এর। শুধুমাত্র টিকার দুইডোজ সম্পন্নকারীরাই এই পাস পাচ্ছেন।
পাশাপাশি দেশটির রেস্তোরাঁ, ক্যাফে বা বিদেশ ভ্রমণের জন্য এই পাস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দুটি টিকা নেওয়া না থাকলে বহু জায়গাতেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
করোনা্ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর আলাদা আলাদভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মতো নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ শুরু করেছে। স্যাভয়েতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি পুরো পাল্টে যায়। গত ৪ ডিসেম্বর এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ মারা গেছেন।