কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলাকারীদের কোন ছাড় দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) হামলার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে এই হুশিয়ারি উচ্চারণের পাশাপাশি বলেন, এই হামলার সঙ্গে তালেবানের কোন যোগসূত্র নেই।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ভয়াবহ জোড়া আত্মঘাতী হামলায় প্রকম্পিত হয় কাবুল বিমানবন্দর এলাকা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অন্তত ১০৩ নিহত এবং দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে নারী-শিশুসহ ২৮ তালেবান কর্মী ও ১৩ মার্কিন সেনাও রয়েছেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস থেকে এক টেলিভিশন বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। তাদের সমূলে নির্মূল করবে আমেরিকা’।
এসময় বাইডেন বলেছেন, ‘হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আঘাত হানবে মার্কিন সেনা। তাদের চরম জবাব দেওয়া হবে’। তিনি আরো বলেন, ‘বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উদ্ধারকাজ বন্ধ করা যাবে না। যে গতিতে উদ্ধারকাজ চলছে, তা অব্যাহত থাকবে’। এবং ৩১ অগাস্টের পর কোনোভাবেই মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থাকবেন না বলে আবারো দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাইডেন।
বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তালেবানকে এই ঘটনা থেকে দায়মুক্তি দিয়ে বলেন, ‘এই হামলায় তালেবানের কোনো হাত নেই’। অর্থাৎ, তালেবান আইএসের সাথে হাত মেলায়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাতেই জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে উগ্র জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর খোরাসান গোষ্ঠী । গোষ্ঠীটি নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাক-এ হামলার দায় স্বীকার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই গোষ্ঠীটি কাবুল বিমানবন্দরে হামলা করতে পারে বলে হামলার কয়েক ঘন্টা আগেই সতর্ক করেছিল আমেরিকা ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। তারা জানিয়েছিল, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এই গোষ্ঠীটি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তৈরি হচ্ছে। যে কোনো সময় আক্রমণ চালাতে পারে। পরে সন্ধ্যার দিকে দুই আত্মঘাতী জঙ্গি কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবি গেট এবং বিমানবন্দর থেকে সামান্য দূরে ব্যারন হোটেলের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় গোলাগুলির শব্দও পাওয়া যায়।