এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৪:২০ পিএম
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে চায় ইউক্রেন, আর ইউক্রেনকে এ যুদ্ধে জিততে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। অনেকটা চুপিসারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনী ব্লিনকেন ও লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করে এখন পোল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
কিয়েভ সফরের সময় প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে জেলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেন তারা। পরে পোল্যান্ডে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। অস্টিন বলেন, রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস শহরের দখলে জোর প্রচেষ্টা শুরু করায় যুদ্ধের ধরনে পরিবর্তিত হয়েছে।
অস্টিন বলেন, এ মুহূর্তে ইউক্রেনের অতিরিক্ত যুদ্ধাস্ত্র, অর্থ সাহায্য প্রয়োজন; যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র করবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ইউক্রেনের রুশ হামলা শুরুর পর, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ কিয়েভ সফর। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও ৩শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ১৬৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদনও হয়েছে বলে জানান ব্লিনকেন ও অস্টিন। ব্লিনকেন বলেন, আমরা জেলেনস্কির কাছে জানতে চেয়েছি; তার কি ধরনের সহায়তা প্রয়োজন। এ বিষয়ে তিনি আমাদের বিস্তারিত বলেছেন। আমরাও বলেছি, যুদ্ধ বন্ধে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ অব্যাহত রাখবো। যুদ্ধের শুরুর দিকে রাশিয়া যতটা সহজ মনে করেছিলো, যুদ্ধ এখন ঠিক তার উল্টো অবস্থানে আছে। ব্লিনকেন জানান, আমরা চাই, ইউক্রেন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
পোল্যান্ড থেকে ব্লিনকেন ফিরবেন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন দেশে ফেরার আগে জার্মানির র্যামস্টেইনে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এবং অন্যান্য কয়েকটি দাতা দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার একটি বৈঠকে অংশ নেবেন। জানা গেছে, ওই বৈঠকে ২০টির বেশি দেশ প্রতিনিধি পাঠাবে।
নতুন দেওয়া এ অর্থ সহায়তা নিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অর্থ সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত মাসে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেন ও অন্যান্য মিত্রদের সহায়তার জন্য ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তার প্রস্তাবটি অনুমোদন করে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ইউক্রেন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয়ের জন্য ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার প্রস্তুত রেখেছে মার্কিন কংগ্রেস।