নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও সরকার গঠন নিয়ে জটিলতার নিরসন হয়নি জার্মানিতে। মেরকেল যুগ অবসানের পর কে হতে যাচ্ছেন জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর?
জার্মান সংসদের ৭৩০টি আসনের মধ্যে ওলাফ শুলজের নেতৃত্বাধীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি (এসপিডি) ২০৬টি আসন, অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (এসডিইউ) পেয়েছে ১৯৬টি আসন। এবং গ্রিন পার্টি ১১৮টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ৯২, এএফডি ৮৩ ও বাম দল ৩৯টি আসন পেয়েছে।
বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরেকেলের নেতৃত্বে জার্মানিতে আধিপত্য গড়ে তুলেছিল মধ্য ডানপন্থী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (এসডিইউ)। তাদের ১৬ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে জার্মানির সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল এসপিডিকে সামনে নিয়ে এসেছেন ওলাফ শুলজ।
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির (এসপিডি) পলিটব্যুরোর এক জরিপে দেখা গেছে দেশটির বেশিরভাগ সাধারণ নাগরিকদের চাওয়া, সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টি (এসপিডি), এফডিপির ও গ্রিন পার্টির জোট সরকার। এবং তারা জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে চান বিজয়ী দল এসপিডির প্রধান ওলাফ শুলজকে।
অপরদিকে ২৪.১ শতাংশ ভোট পাওয়া ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (এসডিইউ) নেতা আরমিন ল্যাশেট চান গ্রীন পার্টি ও এফডিপিকে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে। তবে এই দৌঁড়ে এখনা এগিয়ে আছেন ওলাফ শুলজ। তিনি এরইমধ্যে এফডিপি ও গ্রীন পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন।
এদিকে যেকোনো মূল্যে সরকারের অংশীদার হতে ভোটে জেতা সম্ভাব্য সবগুলো দলের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত এবারের নির্বাচনে ১১৮ আসনে জেতা গ্রিন পার্টি। তারই ধারাবাহিকতায় ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দলটির শীর্ষ নেতা রবার্ট হাবেকও।
তবে কর নির্ধারণ, মহাসড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ, শ্রমের ন্যূনতম মজুরি, জলবায়ুসহ আরও নানা বিষয়ে এফডিডিপির সঙ্গে মতৈক্য না হলে এসপিডির সঙ্গে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জনগণের অধিকার রক্ষা, উদারপন্থি, উন্নয়নমুখী, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ও বিশ্বের দরবারে দেশটির ভাবমূর্তি রক্ষায় কাজ করবে, এমন সরকার দেখতে চান দেশটির সাধারণ মানুষ।