জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ডকে জামাল খাসোগি হত্যার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে সৌদি সরকারের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যালামার্ড জানান, ২০১৯ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যাতে প্রমাণ হয় খাশোগি হত্যার জন্য সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের এক মুখপাত্র সিএনএনকে ক্যালামার্ডের বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জামাল খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টে সৌদি শাসনের সমালোচনা করে বিশেষ করে যুবরাজ সালমানের সমালোচনা করে বেশ কয়েকটি কলাম লিখেছিলেন। বিয়ের কাগজপত্র আনতে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে যান,সেখান থেকে তিনি আর বাইওে বেরিয়েং আসেনি। পরবর্তীতে সৌদি আরব স্বীকার করতে বাধ্য হয়, সৌদি আরবের আদেশে জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
সম্প্রতি জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় আসার পর জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে এক বিশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রকাশের পরে এই গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে রহস্যজনকভাবে তিনটি নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন।