দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের মহড়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ১৭, ২০২১, ০৮:২৫ পিএম

দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের মহড়া

সদ্য সমাপ্ত জি ৭ বৈঠকের মঞ্চেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সংঘাত স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল। বুধবার (১৬ জুন) দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া শুরু হওয়ায় সেই সংঘাত আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এমনিতে দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের স্নায়ুযুদ্ধ বরাবরই তুঙ্গে। তার উপরে আজ যুক্তরাষ্ট্রের সেনা জানিয়েছে, পরমাণু শক্তিচালিত রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রেগানের নেতৃত্বে তাদের বিমানবাহী নৌবহর প্রবেশ করেছে দক্ষিণ চীন সাগরে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের মতে, এটি ‘নিয়মমাফিক মহড়া’। কিন্তু চীন বরাবরই বলে এসেছে, এই ধরনের মহড়া দু’দেশের মধ্যে শান্তি ও স্থিতাবস্থার পরিপন্থী।

বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের উপরে সামরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত অনুশীলন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রপথে অভিযান চালানোর মহড়া ও সেনা ও বায়ুসেনার মধ্যে কৌশলগত বোঝাপড়ার প্রশিক্ষণ। এটি সেনার নিয়মমাফিক মহড়ার অংশ।’

বস্তুত, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ চীন সাগরে ঘন ঘন অনুশীলন চালাচ্ছে পেন্টাগন। যা প্রতিপক্ষের শক্তি প্রদর্শনের ছল বলে দাবি চীনের। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রেরও পুরনো অভিযোগ, ওই অঞ্চলে বেআইনি ঘাঁটি তৈরি করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বেজিং। সদ্য শেষ হওয়া জি ৭ বৈঠকে সে প্রসঙ্গ ওঠায় ফের এক দফা সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে এই আবহ তৈরিতে চীনের ভূমিকাও কম কিছু না।যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, কানাডা ও ইটালির মতো জি ৭-ভুক্ত দেশগুলির জোটকে আক্রমণ করে দিন দু’য়েক আগেই চীন বলেছে, ‘ছোট একটি গোষ্ঠী সারা বিশ্বকে চালনা করতে পারে না।’

যার পর পরই গত কাল ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটোনবার্গ বলেছেন, ‘চীনের উত্থান আমাদের নিরাপত্তার জন্য যে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, জোট হিসেবে তার মোকাবিলা করা দরকার।’’

ন্যাটো প্রধানের বক্তব্য, বেইজিং অত্যন্ত আগ্রাসীভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের ভাঁড়ার তৈরির পথে এগোচ্ছে। এবং সাইবার যুদ্ধের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে যা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে ক্ষতিকর।

ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানান, চীনের একাধিপত্য ও ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।  

তবে,চীন ন্যাটোর বক্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছে, ‘সব কথাকেই অতিরঞ্জিত করে চীনের হুমকি বলে দেগে দেওয়া বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এবং চীনের বৈধ স্বার্থ ও আইনি অধিকার প্রয়োগের প্রসঙ্গ এলেই রাজনীতি করে সংঘাতের ভুয়ো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা বন্ধ হোক।’

 সূত্র: আনন্দবাজার।

Link copied!