পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিতে ২৮ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ১১, ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম

পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিতে ২৮ জনের মৃত্যু

ভারী বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া ও পাঞ্জাবে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি।

এদিকে রবিবার (১১ জুন) পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আরব সাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আরও শক্তি সঞ্চয় করছে। এতে এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে পাকিস্তানের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।

দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ভারী বর্ষণের জেরে ঘরবাড়ি ধস ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদনে জানা যায়।

ভারী বর্ষণ ও শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায়। এই প্রদেশের অনেক জায়গায় গাছ ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। কিছু জায়গায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন টাওয়ারে ভেঙে পড়েছে।

পাখতুনখাওয়ার বান্নু, দেরা ইসমাইল খান, কারাক ও লাক্কি মারওয়াত এলাকায় ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এসব এলাকায় আহত হয়েছেন ১৪৫ জন। ভারী বৃষ্টিতে অন্তত ৬৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এক বিবৃতির মাধ্যমে খাইবার পাখতুনখাওয়ার অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী ফিরোজ জামাল শাহ বলেন, দুর্গত এলাকার হাসপাতালগুলোয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।

অন্যদিকে পাঞ্জাবের সারগোধা, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদসহ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খুশব জেলার একটি গ্রামে একটি বাড়ির দেয়াল ধসে তিনজন মেয়ে মারা গেছে।

আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) নাকিয়ান শহর ও এর আশপাশের এলাকায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

উল্লেখ্য, গত বছর ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় দেশটিতে অন্তত ১ হাজার ৭৩৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ৬৪৭ জনই শিশু। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ।

Link copied!