পাঞ্জশির উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীর প্রধান আহমদ মাসুদের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, পাঞ্জশির পরিচালিত হবে তালেবান সরকারের অধীনেই।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তানের এনআরএফএ’র নেতা আহমদ মাসুদ বলেছিলেন, পাঞ্জশির, কাপিসা, পারওয়ান ও আন্দারাব অঞ্চলে তালেবান হামলা বন্ধ করলে তারাও যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি। এবং এ ব্যাপারে তারা তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও প্রস্তুত বলে জানান মাসুদ।
তবে এনআরএফএ’র প্রধান আহমদ মাসুদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে তালেবান কমান্ডার মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘পাঞ্জশিরের বিদ্রোহীদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো, ‘‘আত্মসমর্পণ করো’’। আমরা আপনাদের মারতে চাই না কিন্তু, আপনাদের অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে। বিজয় আমাদের হবেই।
তালেবান কয়েকদিন ধরেই জানাচ্ছিল, পাঞ্জশিরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং এখন সামরিক শক্তি প্রয়োগ ব্যতীত অন্য কোন উপায় নেই ওই প্রদেশটি দখল করার।
৫দিন ধরে তালেবান পাঞ্জশিরে অভিযান চালাচ্ছে। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তালেবান ওই উপত্যকার প্রায় পুরো অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে জানিয়েছিল। একইদিনে এনআরএফএ’র তরফ থেকে দাবী করা হয়েছিল তাদের প্রতিরোধের ফলে ৬০০ তালেবান নিহত হয়েছে।
২০০১ সালে তালেবানের আত্মঘাতী হামলায় ‘পাঞ্জশিরের সিংহ’ আহমদ শাহ মাসুদ নিহত হওয়ার সময় তার ছেলে আহমদ মাসুদ ছিলেন ১২ বছর বয়সি কিশোর। রুশ বাহিনীর দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ ঘোষণা করেছেন, তিনি বেঁচে থাকতে ওই উপত্যকায় তালেবানের আধিপত্য মেনে নেবেন না।