ফেসবুককে রোহিঙ্গাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে: অ্যামনেস্টি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ১২:৪৮ পিএম

ফেসবুককে রোহিঙ্গাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে: অ্যামনেস্টি

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ছড়ানোয় ফেসবুককে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মিয়ানমার থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তাদের বাস্তুচ্যুত করার অভিযানকে ত্বরান্বিত করে অনলাইনে বেপরোয়া বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য।

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টি বলছে, ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে রোহিঙ্গা বিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে ছড়ানোয় একাধিকবার অবগত করার পরও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপরই ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

তারা আরও জানিয়েছে, ২০১২ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠান মেটার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মিয়ানমারের কর্মীরা। তখনও আমলে নেয়নি।

মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ২০১৭ সালে লক্ষ্যবস্তু বানায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তাদের অনেকেই বাংলাদেশে চলে আসে। এর পর থেকে তারা শরণার্থীশিবিরে বসবাস করছে।

প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বলেছে, অনেক রোহিঙ্গা ফেসবুকের ‘রিপোর্ট’ ফাংশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাবিরোধী বিষয়বস্তু রিপোর্ট করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বিদ্বেষপূর্ণ এসব বক্তব্যকে মিয়ানমারে বিপুলসংখ্যক দর্শকের কাছে ছড়িয়ে দিতে এবং পৌঁছানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাটি ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত সাড়া জাগানো ‘ফেসবুক পেপারস’-এ উঠে আসা বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, কোম্পানির নির্বাহীরা জানতেন সাইটটি জাতিগত সংখ্যালঘু ও অন্যান্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষতিকর বিষয়বস্তু ছড়াতে ভূমিকা রেখেছে।

দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের নির্দেশিকার অধীন ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পাশাপাশি উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর ওইসিডি গ্রুপের কাছে মোট তিনটি মামলা করেছেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা।

Link copied!