মন্ত্রিত্ব হারিয়ে এবার বরিস জনসন কলাম লেখক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ১৭, ২০২৩, ০১:৫৭ পিএম

মন্ত্রিত্ব হারিয়ে এবার বরিস জনসন কলাম লেখক

একের পর এক কেলেঙ্কারির জেরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ খুইয়েছিলেন বরিস জনসন। পরবর্তীতে এমপির পদও ছাড়তে হয় কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতাকে। মন্ত্রিত্ব পুরোপুরি হারিয়ে এবার একদম সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চাকরি পেলেন বরিস। যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র ডেইলি মেইলে কলাম লেখক হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। 

এদিকে যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নতুন চাকরি নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। নতুন চাকরির বিষয় পার্লামেন্টের এ–সংক্রান্ত কমিটিকে আগে থেকে জানাননি বরিস। খবরটি প্রকাশের মাত্র আধঘণ্টা আগে কমিটিকে বিষয়টি জানান তিনি। তাই এটাকে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বরিস জনসনের অন্যতম কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিল ডেইলি মেইল সংবাদপত্রটি। এই সংবাদপত্রে প্রতি সপ্তাহে একটি করে কলাম লিখবেন এমন চুক্তি করেছেন বরিস।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ জুন) জনসন ও ডেইলি মেইলের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এ তথ্য জানানো হয়। পাশাপাশি ডেইলি মেইলের অনলাইন সংস্করণে বরিসের প্রথম কলাম প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, পার্টি গেট কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তদন্তের মুখে গত সোমবার (১২ জুন) পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন তিনি। আইন অনুযায়ী, সাবেক মন্ত্রীরা পদ ছাড়ার দুই বছরের মধ্যে চাকরিতে যোগ দিতে চাইলে অ্যাডভাইজরি কমিটি অন বিজনেস অ্যাপয়েন্টমেন্টের পরামর্শ নিতে হয়।

সংবাদপত্রে কলাম লেখকের চাকরির বিষয়ে বরিস জনসন এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। ঘোষণা দেওয়ার মাত্র আধঘণ্টা আগে কমিটিকে জানিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। এ জন্য কারণ জানতে চেয়ে বরিস জনসনকে চিঠি দিয়েছে কমিটি।

এ বিষয়ে বরিস জনসনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বরিস জনসন কমিটির সাথে যোগাযোগ করেছেন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।

বরিস জনসনের সঙ্গে বিতর্ক–সমালোচনা যেন এক সুতায় গাঁথা। ২০২০-২১ সালের দিকে করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। তখন লকডাউনের বিধি ভেঙে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের কার্যালয়ে একাধিকবার পানাহারের আয়োজন করেন, যা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এ বিষয়টিই ‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত।

Link copied!