ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যৌথ সম্মতিতে মারিউপুলে আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক করিডরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিউপুল থেকে বুধবার তাদের সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।
ধারণা করা হচ্ছে মারিউপুলের একটি ইস্পাত কারখানাকে ঘিরেই এখন ইউক্রেনের সৈন্যরা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। সেখানে এক হাজারের মতো বেসামরিক নাগরিক আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেন বাহিনীর নৌ কমান্ডার বলেছেন, মারিউপুলে খুব বেশি সময় তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে না। মেজর সারহিভ ভোলিনা তার সৈন্যরা আত্মসমর্পন করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ইস্পাত কারখানার ঘাটি পরাস্ত হলে পুরো মারিউপুল রুশ বাহিনীর দখলে চলে আসবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মারিউপুলের আটকা পড়া নাগরিকদের নিরাপদে শহরটি ছেড়ে যেতে দেওয়া হলে, ইউক্রেনের কাছে বন্দি থাকা রুশ সৈন্যদের মুক্তি দেওয়া হবে।
ওদিকে ইউক্রেনের ডোনবাস শহরের দখল নিতে নতুন করে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। গোয়েন্দারা বলছে, ডোনবাসে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সৈন্যরা বেশ ভালোভাবেই যুদ্ধ করছে। জাতিসংঘ বলেছে, যুদ্ধের কারণে এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ ইউক্রেনিয়ান নাগরিক দেশটি ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
অবরুদ্ধ মারিউপোল শহরের ইউক্রেনিয়ান সেনাদের আত্মসমর্পণের জন্য রাশিয়া বুধবার গ্রিনিচ মান সময় বেলা এগারোটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর কোন ইউক্রেনিয়ান সেনা আত্মসমর্পণ করেনি। এরপর আবারও রুশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ইউক্রেনিয়ান নাগরিকদের আত্মসমর্পনের আহবান জানানো হয়।