মিয়ানমারের জঙ্গল থেকে ৪০ মরদেহ উদ্ধার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৫, ২০২১, ০৭:৫৭ পিএম

মিয়ানমারের জঙ্গল থেকে ৪০ মরদেহ উদ্ধার

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটিতে সক্রিয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘাতের পর একটি জঙ্গল থেকে ৪০ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে কানি শহরের বাসিন্দারারা পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করে। এসব মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা যায়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে।

কানি এলাকার একজন মিলিশিয়া সদস্য পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই এলাকায় সংঘাত বন্ধ হয়েছে তবে আরও মরদেহ পাওয়া যাবে কি-না তা স্পষ্ট নয়।

তবে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী কানি শহরে গণহত্যার কথা অস্বীকার করেছে। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফোনের নেটওয়ার্ক সংযোগ না থাকায় সংবাদ সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে রিপোর্ট যাচাই করতে পারে নি।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারির অভ্যূত্থানের পর জান্তা কর্তৃক বরখাস্ত হওয়া সত্ত্বেও পদ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানো জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়া মো তুন বুধবার (৪ আগস্ট) সংস্থাটিতে সেনাবাহিনীর গণহত্যা নিয়ে সতর্ক করেছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘উত্তর-পশ্চিম মিয়ানমারের সাগাইং এলাকায় জুলাই মাসেই ৪০টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। সেনারা ৯-১০ জুলাই নাগাদ এই এলাকার একটি গ্রামে ১৬জন পুরুষকে নির্যাতন করে হত্যা করে। এই ঘটনার পর প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ২৬ জুলাই স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠির সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর আরো ১৩টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২৮ জুলাই আরেকটি গ্রামে আগুন দেয়া হয় এবং ১৪ বছরের এক শিশু সহ ১১জনকে হত্যা করা হয়।

ক্ষমতাসীন জান্তার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘জরুরি মানবিক হস্তক্ষেপ’ এর আহ্বান পুনরাবৃত্তি করে কিয়া মোন তু বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে মিয়ানমারে এই ধরণের নৃশংসতা চালাতে দিতে পারি না। এখনই জাতিসংঘ, বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে।’

ফেব্রুয়ারির অভ্যূত্থানে পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া এক আবেগঘন বার্তায় কোয়ে মিন তুন অভ্যূত্থান প্রত্যাখ্যান করে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবী জানান। একদিন পর জান্তা সরকার তাকে বরখাস্ত করে। কিন্তু তিনি জান্তার নির্দেশনা মানকে অস্বীকৃতি জানান। জাতিসংঘ এখনো তাকে মিয়ানমারের প্রকৃত দূত হিসেবে বিবেচনা করে। সম্প্রতি কয়েক দফায় হুমকি পাওয়ার পর মার্কিন কর্তৃপক্ষ তার নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

সূত্র: গার্ডিয়ান, রয়টার্স।

Link copied!