কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে জাপানি গাড়ি তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান ‘সুজুকি’ মিয়ানমারে অবস্থিত তাদের দুইটি প্লান্টের কাজ স্থগিত করেছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার থেকে মিয়ানমারে প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে,পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তৃতীয় দিনে সোমবার দুপুর পর্যন্ত দশ সহস্রাধিক মানুষ জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। রাজধানী নাইপিদোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। এদিকে ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের বিক্ষোভকারী শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ডাক্তারদের মিছিলে এবার যুক্ত হয়েছে গেরুয়া পোষাকের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। তারা এনএলডির লাল পতাকার পাশাপাশি বহুরঙের ‘বৌদ্ধ পতাকা’ উড়িয়ে সেনাবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে কালো পোষাক পরে এসেছে। তারা সমবেত স্লোগানে বলছে, ‘আমাদের নেতার মুক্তি চাই, জনগনের ভোটের অধিকার চাই, সেনাশাসনের অবসান চাই।’
জান্তা সরকার দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিলেও, বিক্ষোভকারী এক ছাত্রনেতা অ্যাই থিনজার মং ভার্চুয়াল প্রইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘ইয়াঙ্গুনের প্রতিটি এলাকা থেকে এসে আপনারা আমাদের এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নিন, গণমানুষের সাথে একাত্ম হোন।’ তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভের স্থান ও সময় আপনাদের পরবর্তীতে জানানো হবে।
জান্তা সরকার দেশটির নিবার্চিত সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য জেষ্ঠ্য রাজনৈতিক নেতাদের আটকের পর একের পর এক জনবিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে জনগনকে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সর্বশেষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের পর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ সর্বস্তরের জনগন রাস্তায় বিক্ষোভে নামে। তারা সেনা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ,হাতে তালি দিয়ে, লাল ফিতা বেঁধে ,তিন আঙুলে স্যালুটের ভঙ্গি করে ইয়াঙ্গুন জুড়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: নিক্কা এশিয়া