সেনাবাহিনী ও পুলিশি সহিংসতার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে সরকারি কর্মচারী, চিকিৎসক, শিক্ষক, রেলকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার লক্ষাধিক বিক্ষোভকারীর ঢল নেমেছে মিয়ানমারে । নাইপিদো, ইয়াঙ্গুনসহ সব গুলো প্রধান শহরে সমানতালে বিক্ষোভ চলছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর গতকাল মঙ্গলবার ছিল সবচেয়ে সহিংস দিন। এদিন রাজধানী নাইপিদোতে বিক্ষোভে গুলি চালায় পুলিশ। এছাড়াও মঙ্গলবার রাতে অং সান সু চি’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশী চালায় ও দলটির সবগুলো কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেনাবাহিনী। এতে দমে না গিয়ে তীব্র আন্দোলনে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক যুবনেতা এস্টার জে নাও বলেন, ‘আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সময়ই যদি রক্তপাত হয়, তাহলে আমরা তাদের (সেনাবাহিনী) দেশটি দখল করতে দিলে আরও অনেক কিছুই হবে।’
নাইপিদোতে গতকাল বিক্ষোভকালে পুলিশের গুলিতে আহত এক নারী মারাত্মকভাবে আহত হন। কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, ‘এই বিক্ষোভকারীর মাথায় আঘাত রয়েছে। তার বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বিক্ষোভে রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গণতন্ত্র পুনর্বহাল ও দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
তথ্যসূত্র: নিক্কে এশিয়া/ দ্য গার্ডিয়ান