মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত তেরো জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এছাড়াও দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের কয়েকটি জায়গায় ছোট ছোট বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে একটি চীনা কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। বিক্ষোভকারীরা এদিন চীনের পতাকাও পুড়িয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানা যায়।
এদিকে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং বুধবার বলেছেন, আইন অমান্য আন্দোলন মিয়ানমারকে ‘ধ্বংস করে দিচ্ছে’।
গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে বুধবার পর্যন্ত ৫৮০ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স।
গত ১ ফেব্রুয়ারির ওই অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন উপেক্ষা করেই দেশটির বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার বিক্ষোভ ও ধর্মঘট হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কালে শহরে একাধিকবার গুলিবর্ষণ ও হতাহতের খবর দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম মিজ্জিমা ও ইরাবতী উত্তরপশ্চিমের এ শহরে গুলিতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, তারা কালেতে বিক্ষোভে গুলি ও হতাহতের সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে পারেনি।
বুধবার ইয়াঙ্গুনের কাছে বাগো শহরেও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও।