মিয়ানমারে চলতি বছরের মার্চ মাসে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ৬৫ জন নিহতের ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার ও বিক্ষোভের দিনের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের পর এ তথ্য পেয়েছে বলে জানায় নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংস্থাটি।
এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
তারই ধারাবাহিকতায় মার্চ মাসের ১৪ তারিখ ইয়াঙ্গুনে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ। সে সময় নিরাপত্তাবাহিনী সঙ্গে সংঘর্ষে ৬৫ জন নিহত হন। ওই ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত দাবি করছে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এতে বলা হয়, আগে থেকে পরিকল্পনা করে আন্দোলনকারীদের কোনঠাসা করা হয়েছিলো।
এরপর বিনা উসকানিতে নিরস্ত্র মানুষের ওপর নিরাপত্তাবাহিনী সরাসরি গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার ও বিক্ষোভের দিনের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের পর এমন তথ্য পেয়েছেন তারা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলায় কমপক্ষে ২০০ সেনা জড়িত ছিলো। সংঘর্ষের পর আহতদের সাহায্যে যারা এগিয়ে আসে তাদের ওপরও সেনাবাহিনী ও পুলিশ গুলি চালায় বলে জানায় মানবাধিকার সংস্থাটি।
বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলায় জড়িত সেনাদের পাশাপাশি নির্দেশদাতাদেরও আইনের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সেনা-পুলিশের অভিযানে এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। কারাবন্দি রয়েছেন কয়েক হাজার।