যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘পারমাণবিক যুদ্ধের’ সতর্কবাণী উত্তর কোরিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ২৭, ২০২৩, ০৫:৪২ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘পারমাণবিক যুদ্ধের’ সতর্কবাণী উত্তর কোরিয়ার

ছবি: আল জাজিরা

কোরিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার ৭৩তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধ্বংস’ করার জন্য ‘প্রতিশোধমূলক যুদ্ধের’ প্রত্যয় জানিয়ে শ্লোগান দিয়েছে উত্তর কোরিয়াবাসী।

পৃথকভাবে ‘পারমাণবিক যুদ্ধের’ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

সোমবার (২৬ জুন) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, রোববার রাজধানীজুড়ে অনুষ্ঠিত এসব সমাবেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার শ্রমিক ও শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ধ্বংস’ করার জন্য ‘প্রতিশোধমূলক যুদ্ধের’ প্রত্যয় জানিয়ে শ্লোগান দিয়েছে বলে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, কেসিএনএ প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা গেছে, একটি স্টেডিয়াম ভরা লোকজনের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘যুক্তরাষ্ট্রের পুরো মূলভূখণ্ড আমাদের গোলার আওতার মধ্যে’ এবং ‘সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র শান্তি ধ্বংসকারী’।

কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়ার এখন ‘সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি দেওয়ার মতো পরম শক্তিশালী অস্ত্র’ আছে আর ‘এই ভূমির প্রতিশোধ গ্রহণকারীরা শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে জ্বলছে’।    

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক একটি প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়া বলেছে, “একটি পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বেপরোয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।” এ উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে কৌশলগত অস্ত্র পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।  

উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতা ওপর নজরদারি জোরদার করার জন্য তাদের প্রথম সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য আরেকটি উদ্যোগ নিতে পারে।৩১ মে তাদের এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রথম পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছিল। এ নিয়ে ওই অঞ্চলে ও ওয়াশিংটনে উদ্বেগ বিরাজ করছে। 

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত চলা যুদ্ধ কোনো চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হওয়ায় তাত্ত্বিকভাবে তারা এখনও যুদ্ধরতই আছে।

Link copied!