শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত ধর্মীয় পোশাক নয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ০৯:১৩ পিএম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত ধর্মীয় পোশাক নয়

যতদিন পর্যন্ত হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হচ্ছে, ততদিন স্কুল ও কলেজে হিজাবসহ যেকোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না বলে  নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট।  একই সঙ্গে রাজ্যটির স্কুল ও কলেজ খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক মামলার শুনানিতে এ নির্দেশ দেন কর্ণাটকের হাইকোর্ট। হিজাব সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি আসছে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত রাজ্যটিতে সাময়িকভাবে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্ণাটক রাজ্য সরকার।

কলকাতা Times 24 নামে ভারতের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জানায়, বৃহস্পতিবার চিফ জাস্টিস রিতু রাজ আওয়াস্থি, জাস্টিস জে এম খাজি এবং জাস্টিস কৃষ্ণ এস দীক্ষিতকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিন আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা বিষয়টির যথাযথ সমাধান করার চেষ্টা করছি। তবে বর্তমানে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুব জরুরি। আদেশ আসা পর্যন্ত কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় বস্ত্র পরে যাবেন না।”

শুনানি চলাকালিন আদালত জানায়, হিজাব পরা মৌলিক অধিকার কিনা এবং ধর্মীয় মতে এটি পরিধান করা অনিবার্য কিনা সেই বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। সেইসঙ্গে, সংবাদমাধ্যমগুলোকে কোনোরকম ভুয়ো খবর প্রচার না করার সতর্কবাণীও দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে হিজাব সংক্রান্ত মামলাটিকে দ্রুত সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আবেদন উঠেছিল। তবে ওই  আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টে আবেদন করার কথা বলেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ককে কেন্দ্র করে আন্দোলনে নেমেছেন একাধিক রাজ্যের শিক্ষার্থীরা। কর্ণাটক সহ দিল্লি, মুম্বই, কলকাতার শিক্ষার্থীরাও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আন্দোলনে নেমেছেন। হিজাব বিতর্কে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি উগ্র হিন্দুত্ববাদী একদল তরুণের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পাল্টা ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান তুলে খবরের শিরোনাম হয়েছেন কর্ণাটকের এক মুসলিম তরুণী। মুসকান খান নামের ওই তরুণীর সাহসিকতার জন্য গতকাল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

Link copied!