শ্রীলংকায় অশান্তি সৃষ্টির পেছনে রাশিয়া দায়ী: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ১৪, ২০২২, ০৯:০৪ পিএম

শ্রীলংকায় অশান্তি সৃষ্টির পেছনে রাশিয়া দায়ী: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর পর খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় সৃষ্ট বৈশ্বিক অশান্তির জন্য রাশিয়া দায়ি বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্যও মস্কোকে দায়ী করেছেন ইউক্রেনের এই নেতা।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার ব্যবহার করা কৌশলগুলোর অন্যতম হলো অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা দেওয়া উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “রাশিয়া তার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এর ফলে বিশ্বের অনেক দেশকে খাদ্য ও জ্বালানি সঙ্কটে ভুগতে দেখা যাচ্ছে।”

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এশিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্সে বক্তব্য দেওয়ার সময় শ্রীলংকার পরিস্থিতি তুলে ধরে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‌“খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মর্মান্তিক ঘটনা সামাজিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এটা কীভাবে শেষ হবে তা এখনো কেউ জানে না।”

প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর  সবচেয়ে কষ্টদায়ক অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়েছে শ্রীলংকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলংকায় গোতাবায়া রাজাপাকসের গঠন করা সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন সহিংসতার পর্যায়ে পৌঁছালে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। 

কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকেন। শনিবার (৯ জুলাই) আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টে ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায়। ওইসময় গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রেসিডেন্ট বাসভবন থেকে পালিয়ে নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন। পরে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে শ্রীলঙ্কার একটি সামরিক বিমানে পরিবার নিয়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান তিনি। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার এ প্রেসিডেন্ট মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।

Link copied!