জুন ১৮, ২০২১, ১১:৫৬ এএম
সংঘাত-সংলাপ উভয়ের জন্য উত্তর কোরিয়াকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে কথাটি বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, 'উত্তর কোরিয়া যেকোনো তৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে।' বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়াংয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কথাগুলো বলেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এ কথা জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন নিয়ে এটাই কিমের প্রথম মন্তব্য যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের আলোচনার পথ উন্মুক্ত থাকার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজের ‘উপযুক্ত কৌশল এবং কৌশলগত প্রতিরোধের’ বিস্তারিত পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
তিনি জানান, নিজ দেশের সম্মান সমুন্নত রাখতে এবং সার্বভৌমত্বের মধ্য দিয়ে সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম জারি রাখতে একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বরাবরই মার্কিন বিভিন্ন বিবৃতি ও মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র বক্তব্য প্রদান করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। পরমাণু অস্ত্র তৈরিসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকে দেশটির অর্থনীতি ধসিয়ে দিয়েছে। পিয়ংইয়াংয়ে এ সপ্তাহে শুরু হওয়া বৈঠকে কিম তার দেশ খাদ্য সংকটে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন।
অবশ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার এই নেতার সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে দুটি ঐতিহাসিক বৈঠক করতে সক্ষম হয়। আর সে কারণেই আবারও আলোচনার পথ খোলা রাখতেই কিম জং উন এমন মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছে বিবিসি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আরো শীতল হবার সম্ভাবনা দেখছে বিশ্ব। কেননা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণরে পর এক বিবৃতিতে বাইডেন দেশটিকে বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য ‘গুরুতর হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন। এর প্রতি উত্তরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার প্রতি তাদের 'বৈরী নীতি' অব্যাহত রাখার কথাই জানান দিচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি