ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৯:০০ এএম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ধারাবাহিক বন্দুক হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে টেইট কাউন্টির ছোট শহর আরকাবুলতায় বন্দুক হামলা ও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে শনিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সন্দেহভাজন ওই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে মিসিসিপি রাজ্য পুলিশ।
টেইট কাউন্টির শেরিফ ব্র্যাড ল্যান্সের বরাত দিয়ে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলির সব ঘটনাই ঘটেছে আরকাবুলতা এলাকায়। আরকাবুলতা সড়কের পাশে প্রথমে একটি দোকানে একটি গুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে একজন নিহত হন।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার এক বন্দুকধারী প্রথমে একটি স্থানীয় দোকানে প্রবেশ করে এবং একজনকে গুলি করে। এরপর ব্ন্দুকধারী ওই দোকানের কাছের একটি বাড়িতে যেয়ে এক নারীকে গুলি করে হত্যা করে। গোলাগুলিতে ওই নারীর স্বামীও গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গোলাগুলির ঘটনার পর নিহত তিন ব্যক্তিকে দু’টি বাড়ির ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। অন্যদের একটি দোকানে, একটি গাড়িতে এবং একটি রাস্তার মধ্যে পাওয়া গেছে।
ব্র্যাড ল্যান্স বলেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী আরকাবুতলা ড্যাম রোডের একটি বাড়ির ড্রাইভওয়ে পর্যন্ত পালানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। সন্দেহজনক বন্দুকধারী ওই এলাকায় বসবাস করতেন বলে মনে করছে পুলিশ।
তাকে গ্রেপ্তার করার পরই পুলিশ একই রোডওয়েতে আরও চারজন নিহতের সন্ধান পায়। একটি বাড়ির ভেতরে দু’জন এবং অন্য দু’জনকে বাইরে পাওয়া
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ‘হাতে একটি লম্বা বন্দুক নিয়ে ছদ্মবেশ পরিহিত অবস্থায় ছিলেন’। ইথান চেজ নামে ১৯ বছর বয়সী অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি বন্দুক-হাতে ওই সন্দেহভাজনকে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন।
সবশেষ আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ি, আরকাবুলতা শহরের জনসংখ্যা ৩০০ জনেরও কম। ১৯ বছর বয়সী ইথান চেজ আরও জানান ‘এই ধরনের ঘটনা...এই শহরে সাধারণত ঘটে না। ছোট এই শহরটিকে শান্তিপূর্ণ জায়গা হিসেবে মনে করা হয়।’