মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি ভাল বোধ করছেন না বলে গণমাধ্যমে খবর আসার পর এ সপ্তাহে জান্তা শাসিত মিয়ানমারের আদালতে তার বিচারের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন এমন একজন একথা জানিয়েছেন।
সুচি শাসনক্ষমতায় থাকাকালে হেলিকপ্টার কেনা এবং ভাড়া দেওয়া সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতি ও শুক্রবার তার আদালতে শুনানির জন্য হাজিরা দেওয়ার কথা।
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত আরএফএ (রেডিও ফ্রি এশিয়া)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সুচি মাথা ঝিমঝিম করা এবং বমির মতো উপসর্গে ভুগছেন। সেকারণে সু চির চিকিৎসকের অনুরোধে তাকে আদালতের শুনানিতে হাজির না হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে এ অনুমতির আওতায় কেবল আদালতে বৃহস্পতিবারের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবারের শুনানি পেছানো হয়নি এবং এদিনের শুনানিতে তিনি হাজির ছিলেন। বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ওই ব্যক্তি একথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সু চির শরীর শুক্রবার ভাল আছে এবং তার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ ফেব্রুয়ারিতে।
গতবছর ১ ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১১টি মামলা হয়েছে। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এ নেত্রীর সর্বোচ্চ ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
এর মধ্যে প্রথম মামলায় দুই অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে গতবছর ডিসেম্বরেই। গত বৃহস্পতিবার সু চির বিরুদ্ধে নতুন একটি ঘুষের অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার অনুদান নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।