জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ১১:৫১ এএম
শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হতে পারলেন না রিপাবলিকান প্রার্থী কেভিন ম্যাকার্থি। এনিয়ে টানা চারদিনে ১৪তম বারের ভোটাভুটিতেও স্পিকার নির্বাচন করতে পারেননি আইনপ্রণেতারা। এদিনের ভোটাভুটিতেও প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কেভিন ম্যাকার্থি ব্যর্থ হয়েছেন। ১৮৬০ সালের পর থেকে আমেরিকার ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।
গতকাল শুক্রবার স্পিকার নির্বাচনে চতুর্থ দিনের অধিবেশন শুরুর আগে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ম্যাকার্থি। ওইসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আমরা সদস্যরা কথা বলেছি। নতুন কিছু হতে পারে।’
তবে গতকাল রাতে স্পিকার নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হন ম্যাকার্থি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নাগাদ তিন দিনে ১৩ দফা ভোটাভুটি হলেও স্পিকার নির্বাচনে ব্যর্থ হয় প্রতিনিধি পরিষদ।
প্রতিনিধি পরিষদের আসনসংখ্যা ৪৩৫। এর মধ্যে রিপাবলিকানদের ২২২ ও ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ২১২। স্পিকার হতে ম্যাকার্থির প্রয়োজন ২১৮ ভোট।
দলের বিদ্রোহী কট্টরপন্থী আইনপ্রণেতাদের সমর্থন ছাড়া তাঁর পক্ষে স্পিকার হওয়া সম্ভব নয়। প্রতিটি ভোটেই রিপাবলিকান পার্টির ২০ জন সদস্য ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন।এর ফলে তিনি স্পিকার হওয়ার জন্য কিছুতেই প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা পাচ্ছেন না।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, কট্টর রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত ট্রাম্পপন্থী ২০ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। অচলাবস্থা কাটাতে নিজ দলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেন ম্যাকার্থি। তাঁদের কিছু দাবি–দাওয়াও মেনে নিয়েছেন তিনি। আর এর মাধ্যমে নিজের স্পিকার হওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত করেছিলেন। তবে আশা জাগিয়েও ১৪তম বারের মতো ব্যর্থ হন ম্যাকার্থি।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪তম ভোটাভিুটিতে ২১৬ ভোট নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন তিনি। শেষ মুহূর্তে কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এরপর অধিবেশন আগামী সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রাখার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তবে তা নাকচ হয়ে যায়। এখন ১৫তম বারের মতো ভোটাভুটি হবে। ম্যাকার্থি নিজেকে আবারও প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
সর্বশেষ এমন পরিস্থিতি হয়েছিল ১৮৬০ সালে। তখন দাসপ্রথার মতো গুরুতর ইস্যু নিয়ে বিভেদ ছিল আইনপ্রণেতাদের মধ্যে। এবার যদিও তেমন কিছুই নেই। ১৮৬০ সালে ৪৪ বার ভোটাভুটির পর স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে যায় কিনা তার দিকেও নজর রাখছে বিশ্ব মিডিয়া।