মে ২, ২০২১, ০৩:৩৮ পিএম
একুশের নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ভালো ফল করলে নিজের জায়গা ছেড়ে দেবেন’ বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এবারের ভোটে যেন তৃণমূলের এই ভোটকুশলীর কথাই যেন মিলে গেল। বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ভোট গণনায় বিজেপি এখনও তিন সংখ্যা পেরোতে পারেনি। ধারণা করা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার হ্যাটট্রিক করবেন। এই সময়ে এসে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, 'ফল একতরফা হতে পারে। কিন্তু, এটা কঠিন লড়াই ছিল।'
বাংলায় নির্বাচনে বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়়ে দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। বিজেপি দুই অঙ্ক পেরিয়ে তিন অঙ্কে যাবে না। এর থেকে বিজেপি ভালো ফল করলে তিনি নিজের জায়গা ছেড়ে দেবেন বলে ডিসেম্বরে টুইট করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট। ভোটের দিন ঘোষণার পর সেই পুরনো টুইটকে স্মরণ করিয়ে ফের পদ্মশিবিরকে টার্গেট করেন পিকে। পিকে টুইটারে লিখেছিলেন, 'গণতন্ত্রের অন্যতম বড় লড়াই হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলার মানুষ তাঁদের বার্তা নিয়ে প্রস্তুত। তাঁরা সঠিক সিদ্ধান্তই জানাবেন।' টুইটের শেষে লিখেছিলেন, '২ মে আমার পুরনো টুইটের কথাটা মনে রাখবেন।'
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন জিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার কুর্সি দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গেরুয়াবাহিনী। এদিকে, উনিশের ‘ধাক্কা’ সামলে একুশে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের জমি ধরে রাখতে মরিয়া মমতা বাহিনী। উনিশের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরই একদা মোদী-শাহের ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হন তৃণমূল সুপ্রিমো। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পিকের কৌশলেই এগোচ্ছে মমতার দল, এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক মহলের একাংশের। প্রশান্ত কিশোরের কৌশলেই ‘দিদিকে বলো'-সহ একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোড়াফুল শিবির ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে মত রাজনীতির কারবারিদের একাংশের।