‘সন্ত্রাসী হামলার’ উচ্চ ঝুঁকিতে কাবুল বিমানবন্দর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ২৬, ২০২১, ০৭:০৪ পিএম

‘সন্ত্রাসী হামলার’ উচ্চ ঝুঁকিতে কাবুল বিমানবন্দর

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সন্ত্রাসী হামলার ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে উল্লেখ করে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের বিমানবন্দর এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করেছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়, কাবুলে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। যারা বিমানবন্দরটির সামনে অবস্থান করছেন তাদের অবিলম্বে ওই এলাকা ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবে দেশগুলোর কোনোটিই ওই নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ইসলামিক স্টেট (আইএস) কাবুল বিমানবন্দরের সামনে অপেক্ষারতদের ভিড়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।

বিবিসি ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন বলেছেন, ‘একটি সন্ত্রাসী হামলার প্রবল হুমকি চলমান আছে।’ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাবুল বিমানবন্দরের অ্যবি গেইট, পশ্চিম গেইট ও উত্তর গেইটে  যারা অপেক্ষা করছেন, তাদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই কথা বলেন।

যুক্তরাজ্যও একই ধরনের পরামর্শ দিয়ে সেখানে থাকা লোকজনকে ‘নিরাপদ আশ্রয় চলে গিয়ে পরবর্তী পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছে’। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘এখনও অস্থির’ আছে এবং সেখানে ‘একটি সন্ত্রাসী হামলার প্রবল হুমকি বিদ্যমান আছে’। 

গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে পতন হওয়া আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল  থেকে ৮২ হাজারের  বেশি মানুষকে বিমানবন্দর দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ তালেবানের  দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ আগস্টের মধ্যে তাদের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তোড়জোড় করছে। দেশ ছাড়ার অপেক্ষায় কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে হাজারো লোক অপেক্ষা করছেন।

তালেবান বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা বাড়ানোর বিরোধিতা করলেও ৩১ অগাস্টের পরও বেসামরিক বিদেশি ও আফগানদের দেশটি ছাড়ার অনুমতি দেবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে যুত্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর হামলার মুখে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতন ঘটে। তারপর দেশটিতে অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের  ঘোষণা দেওয়ার পরই তালেবান সশস্র যুদ্ধ শুরু করে। তাদের হামলায় টিকতে না পেরে আফগান সরকারের একের পর এক প্রদেশ হাতছাড়া হয়ে যায়। সবশেষ গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।এরপরই  মূলত আফগানদের মধ্যে দেশত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়।

Link copied!