আগস্ট ২, ২০২৩, ১১:৫৯ এএম
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার রায় বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল তিনটায় ঘোষণা করা হবে। এই রায় ঘিরে সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সকালে আদালত বসার আগে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের এজলাসে নিরাপত্তা তল্লাশিও চালিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক হারুন অর রশিদ।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার তদারকি অফিসার পুলিশ পরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রায় ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।’
এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনাকারী দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দোষী সাব্যস্ত হলে আইনের চোখে পলাতক তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সর্বোচ্চ ১৩ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
দুদকের এই মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। মামলায় তারেক-জোবায়দার সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন দুদকের বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল।
তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। প্রত্যেক নাগরিক আইনের কাছে সমান। পলাতক তারেক রহমান এ দেশের নাগরিক হিসেবে আইনের আওতায় এসেছেন। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সব অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তাদের দুজনের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা শাস্তি প্রত্যাশা করছি।
এ মামলায় গত ১৩ এপ্রিল পলাতক এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে আদালত বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। ওই সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। এরপর আর দেশে ফেরেননি।