আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম
৫ শতাংশ লভ্যাংশ পেতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন কর্মী। গত রবিবার ঢাকার শ্রম আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার শুনানি শেষে আদালত সমন জারি আদেশ দেন। আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে এ সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীরা প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী শ্রমিক। শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের মুনাফার ৫ শতাংশ দেয়া হয়নি।
আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্মীদের পাওনা মুনাফার দাবি নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর ডক্টর ইউনূসসহ সকল আসামিদের নোটিশ দেয়া হবে। এরপর আসামিরা নোটিশের জবাব দিলে শুনানির দিন ঠিক করা হবে।
শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন শ্রমিক বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ভিন্নভিন্ন ভাবে ১৮টি মামলা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নুরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ড. ইউনুসকে হাজির হয়ে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কয়েকজন শ্রমিক মামলা করেছেন বলে শুনেছি। তবে কয়টা মামলা হয়েছে সেটা সঠিক জানা যায়নি। আদালতের সমন পেলে বলা যাবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোট ২১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ টাকা পাওনা পরিশোধ না করায় শ্রম আইন ২০০৬-এর ২১৩ ধারা লঙ্ঘিত হওয়ায় এই মামলাগুলো করেন বাদীরা। গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৭ জন ও বর্তমান একজন কর্মচারী এই মামলাগুলোর বাদী।
উল্লেখ্য, এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ওই মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।