এমপি আনার হত্যা

৩ আসামিকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি, জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন

জাতীয় ডেস্ক

জুলাই ৫, ২০২৪, ০৫:২৩ এএম

৩ আসামিকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি, জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে অপহরণের মামলায় দায় স্বীকার করে আদালতে দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছে তিন আসামি। এমনকি রিমান্ডে নিয়ে তাদের নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলে আদালতের শুনানিতে দাবি করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করেন।

জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করা তিন আসামি হলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভূঁইয়া।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আসামিদের জবানবন্দি প্রত্যাহারের ওপর শুনানি হয়। এ সময় আসামিদের আদালতে উপস্থিত করা হয়।

এদিকে, কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে পাওয়া মরদেহের টুকরো ঘিরে এ রহস্যে আরও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। প্রাপ্ত দেহাবশেষ এমপি আনারের বলে সন্দেহ করা হলেও, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার পরিবারকে এখনও কলকাতায় ডাকা হয়নি।

এ বিষয়ে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ বলেন, “আমাদের ৩ জুলাই কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন কবে আসবে আমরা জানি না।”

বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে বলা হয়, ডিবি রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল।আওয়ামী লীগ নেতা বাবু জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনে দাবি করেন, তাকে বাধ্য করা হয়েছে স্বীকারোক্তি দিতে।

এদিকে পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, হত্যা মিশনের সমন্বয়ক ছিলেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। এই আমানুল্লাহ এবং তার চাচাতো ভাই তানভীর ভূঁইয়াসহ আরও দুজন তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। 

তাদের তিনজনের দাবি, ওইসব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পুলিশ আগেই লিখে রেখেছিল। নির্যাতন চালিয়ে তাদের কাছ থেকে সই নেওয়া হয়।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক আবেদনগুলো রেকর্ডে রাখার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জানান, “আসামিরা রিমান্ডে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত জেল কোড অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।”

উল্লেখ্য, গত ১২ মে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতায় যান। এর পরের দিন ১৩ মে খুন করা হয় তাকে। ১৪ মে ভাড়া গাড়িতে করে প্রথম পর্যায়ে সংসদ সদস্যের দেহাংশ ফ্ল্যাট থেকে বের করে একটি স্যুটকেসের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

Link copied!