৩৫ বছর ধরে অপেক্ষা; আবারও পেছালো সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়

আদালত প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ১২:২৩ পিএম

৩৫ বছর ধরে অপেক্ষা; আবারও পেছালো সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়েছিলেন সগিরা মোর্শেদ। স্কুলের  সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। তদন্তে জানা গেল পূর্ব পরিকল্পনা করেই এই হত্যা। আদালতে চলছে বিচার। এর মাঝে পেরিয়ে গেল ৩৫টি বছর। রায়ের অপেক্ষা দেশবাসীরও। এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল।

তবে আবারও পিছিয়ে গেল এই হত্যা মামলার রায় প্রকাশের দিন। নতুন করে আগামী ১৩ মার্চ রায় প্রকাশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণার দিন পেছানো হয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন-আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল।

রায়ে এই চার আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিরা খালাস পাবেন, সেই প্রত্যাশা তাদের। 

এর আগে এর আগে ২৫ জানুয়ারি ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক। 

মামলার অভিযোগপত্রে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে বেশি পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও দ্বন্দ্ব ছিল। উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন সগিরা মোর্শেদ। এছাড়া সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন ডা. হাসান আলী চৌধুরী। 

এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন  শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। 

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে সগিরা মোর্শেদ সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হন। স্কুলের সামনে পৌঁছালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের জিআর শাখায় এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

Link copied!